সহীহ ঔষুধ (?) পরীক্ষা করা
ধরা যাক, কোনো একটি বিশেষ রোগের জন্য একটি ঔষুধ কাজ করে নাকি করে না সেইটা আপনি নির্ণয় করবেন। আপনি দুটি উপায়ে এই নির্ণয়ের কাজটি করতে পারেন। নির্ণয়ের প্রক্রিয়াটি ভুল নাকি ঠিক সেটির কথায় পরে আসছি। আগে দেখে নেই সেই দুটি উপায় কী:
১। আপনি ঔষধের রাসায়নিক গঠন নিয়ে পড়াশোনা করে বলে দিতে পারেন ঔষধটি সেই বিশেষ রোগটির জন্য ভালো নাকি খারাপ।
২। আপনি পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারেন ঔষধটি রোগীদের ক্ষেত্রে কেমন কাজ করছে। অর্থাৎ, ঔষধ খেয়ে রোগী সুস্থ হচ্ছে কি হচ্ছে না। সুস্থ হলে ঔষুধ ঠিক আছে, না হলে ঠিক নেই। এইখানে মাথায় রাখতে হবে, রোগ নিরাময় যদি ইমিউন সিস্টেম করে থাকে তবে আপনি কিন্তু ক্রেডিট ঔষুধকে দিতে পারবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে ঔষুধের কোনোই ভূমিকা ছিল না।
এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, আপনার কাছে কোন নিৰ্ণয় প্রক্রিয়াকে নির্ভুল বলে মনে হয়?
যদি আপনার উত্তর হয় (১) তবে বলবো, দুঃখিত আপনি ভুল উত্তর দিয়েছেন। এবং উত্তর (২) হয়ে থাকেলে আপনাকে অভিনন্দন।
কেন প্রথম প্রক্রিয়াটি ভুল? কারণ যতই ভালো ভালো রাসায়নিক উপাদান দিয়ে ঔষধ বানানো হোক না কেন, যদি সেটি রোগ নিরাময় করতে না পারে তবে ঔষুধ খাওয়া এবং না খাওয়া সমান বেপার। আপনি ঔষুধ খেয়েও রোগে ভুগবেন এবং না খেয়েও রোগে ভুগবেন। আর যদি সুস্থ হয়েও থাকেন, তবে সেটির ক্রেডিট আপনার ইমিউন সিস্টেমের, ঔষুধের নয়। তাই অযথা গাটের টাকা খরচ করে ঔষুধ কিনতে যাবেন কেন?
যদি ঔষধ কাজ করে তবে তো অবশ্যই সেটিকে সেটির ক্রেডিট দিতে হয়। কিন্তু যদি কাজ না করে তবে বলতেই হবে ঔষধটি "ভুয়া"।
বুঝাই যাচ্ছে খুবই সোজাসাপ্টা কথাবার্তা এইটা। এইখানে দ্বিমতের কিছু নেই। কিন্তু শুনলে আশ্চর্য হবেন, পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষই প্রথম প্রক্রিয়াকে ঠিক ভাবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? না হবারই কথা। কিন্তু এইটাই সত্য। একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। এই নির্ণিয় প্রক্রিয়াটি অন্যান্য কিছুর সাথে মিলিয়ে দেখুন। ব্যাপারটা জটিল মনে হলেও জটিল নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন