কাটছে দিন যেভাবে!
দিন কেমন কাটছে আমার? এই প্রশ্নের উত্তর কয়েকভাবে দেয়া যায়।
ধরেন, আমি পান্থপথ থেকে হেঁটে হেঁটে বাংলা মোটরের দিকে যাচ্ছি। সময় মধ্য দুপুর। মাথার উপরের নীল আকাশে সূর্য গম্ভীরভাবে ঝুলে আছে। তখন আমাকে রাস্তায় থামিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই, জীবন কেমন চলছে?
তখন দ্বিতীয় চিন্তা না করেই আমি কপালের ঘাম মুছে উত্তর দেব, ভাই, যন্ত্রণায় আছি! (আপনি নারী হলে "ভাই" এর স্থলে "আপু" বসিয়ে নিন)
আবার ধরেন, আমি এসি রুমের মধ্যে কাত হয়ে শুয়ে পা দুলিয়ে ফেসবুকে ভিডিও দেখছি। ভিডিওতে এক যুবক নতুন কোনো হিন্দি গানে প্রবল প্রতাপের সাথে নৃত্য প্রদর্শন করে চলছে। তখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, দিনকাল কেমন চলছে আপনার?
আমি পা দুলিয়ে দুলিয়ে দুই সেকেন্ড দেরি না করেই উত্তর দেব, ভাই, যন্ত্রণায় আছি! (আপনি নারী হলে আবারও "ভাই" এর স্থলে কষ্ট করে "আপু" বসিয়ে নিন)
আবারও কষ্ট করে একটু কল্পনা করেন। এইবারেই শেষ, প্রমিস। ধরেন, আমি বান্দরবানের কোনো এক গহীন পাহাড়ের উপর কোনো এক বৌদ্ধ মন্দিরের বারান্দায় বসে আছি। পাহাড়ের ধার ঘেঁষে সেই মন্দির। মন্দিরের বারান্দায় বসে চোখ যতদূর যায় কেবলই ঢেউয়ের মতো পাহাড় আর পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে গায়ে পেজাতুলোর মতো মেঘ খেলা করছে। দূরের পাহারগুলো কেমন যেন নীলাভ একটি রঙ গায়ে মেখেছে। প্রকৃতি শান্ত। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। তখন যদি আপনি কষ্ট করে পাহাড় ডিঙিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ভাই জীবন কেমন? এইবার একটু চিন্তা করে বইলেন। সময় নেন। আমি একটু দম ফেলে নেই।
তখন আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় নেব। আপনি এর মধ্যে জিরিয়ে নেবেন। এক সময় আমার দিকে তাকাবেন। আমি উত্তর দেব, ভাই যন্ত্রণায় আছি! (নারী পাঠিকা হয়ে থাকলে কি করবেন তা নতুন করে না বলি)
অতএব আমাকে যেকোনো অবস্থায়, যেকোনো স্থানে, যতটুকু সময়ের প্রয়োজন তার সবটুকু সময় দিয়েও যদি জিজ্ঞেস করেন, জীবন কেমন? আমি ঘাড় হালকা কাত করে উত্তর দেব, জীবন বেদনার। জীবন যন্ত্রণার। এবং আমার উত্তর কোনো সময়েই বদলে যাবে না।
এতটুকু পড়ে আমাকে অনেকে চরম আকারের পেসিমিসটিক মানুষ বলে মনে করছেন। মনে করতেই পারেন। কিন্তু বলে রাখি, আমি এমন নই। বাস্তব জীবনে আমি হাসিখুশি ছেলে। কিন্তু বাস্তব আমি কেমন তা দিয়ে এটি জাসটিফাই করা যায় না যে, সামগ্রিকভাবে, জীবন অসুন্দর না। জীবন বড়ই অসুন্দর। জীবন কুৎসিত। এবং বস্তুত, আমাদের জীবন যন্ত্রণার।
আপনি নারী হলে এই মুহূর্তে কোমরে আঁচল বেঁধে তর্ক করতে আসতে পারেন। পুরুষ হলে সামনের টেবিলে কিল দিয়ে আমার এই কথার বিপরীতে বিশাল এক বক্তব্য পেশ করতে পারেন। (আপনি নারী হলেও টেবিলে কিল মেরে আমার সাথে তর্ক করতে পারেন। আমি চরম নারীবাদী) আমি কিছু মনে করবো না, আগ্রহের সাথেই সেইসব শুনবো।
সেইদিন তো একজনকে বলতে শুনেছিলাম, মাছ খাবেন কিন্তু কাঁটা বাছবেন না তা কি হয়! জীবনও এমন। শুধু কাঁটাটুকু বেছে বাকিটুকু উপভোগ করতে হয়।
কথাটুকু একেবারে চায়ে ফুঁ দেবার মতো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেব তা হয় না। তাই বলে উনার কথায় যে গলদ নেই তাও হলফ করে বলতে পারবো না।
সমস্যা হল, আমরা জীবন নামক জিনিসটাকে গণিতের সমীকরণ বানিয়ে ফেলেছি। অর্থাৎ, "=" এর ডানপাশের জিনিস সত্য হলে বামপাশের জিনিসকেও সত্য হতে হবে। একটু ভেঙ্গে বলি।
কারো কাছে, সুন্দর জীবন = দামি বাড়ি। কারো কাছে, সুন্দর জীবন = তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা। আবার কারো কারো কাছে, সুন্দর জীবন = ভালোবাসার মানুষটাকে পাওয়া। একেকজনের সমীকরণ আলাদা। আলাদা হলেও মনে করা হয়, ডানপাশের জিনিস সত্য হলে, বামপাশের জিনিসও সত্য হবে। কথাটি শুধু ভুল না, হাস্যকর।
আমাদের এই জগৎ গণিতের জটিল সমীকরণ মেনে চলে কিন্তু আমাদের জীবন, এই জগতের অংশ হলেও, তা গণিত মেনে চলে না। মেনে চললে নির্ঘাত বলে দিতে পারতাম, এমনকি প্রমাণ করে দিতে পারতাম, জীবন আনন্দের! কিন্তু তা তো সম্ভব না।
প্রায় সময় আমাদের এই সমীকরণ মিলে না। এবং মিললেও সাথে সাথেই সমীকরণ পাল্টে যায়। ধরা যাক, একজনের কাছে, সুন্দর জীবন = তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা। এবং কোনোভাবে সেইজনের এই সমীকরণ মিলে গেল। এরপর সাথে সাথে সমীকরণ পাল্টে যাবে। নতুন সমীকরণ দাঁড়াবে, সুন্দর জীবন = ভালো ঘর। তারপরের সমীকরণ দাঁড়াবে, সুন্দর জীবন = ভালো চিকিৎসা। এভাবে মৃত্যু পর্যন্ত তা পাল্টাতেই থাকবে।
(উপের ছবির অংক একদম ভুয়া)
এতদূর পড়ার পর যদি আপনার মাথা প্যাঁচ খেয়ে যায় তবে এর জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। জটিলতা তৈরি করা আমার উদ্দেশ্য না। আমার উদ্দেশ্য এই বলা যে জীবন যন্ত্রণার। সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটবে কবরে বা শ্মশানে। কোথায় যেন পড়েছিলাম কোনো এক গোত্র নাকি তাদের সদস্যদের মরদেহ জঙ্গলে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। আপনি সেই গোত্রের হয়ে থাকলে আপনার যন্ত্রণার অবসান ঘটবে গাছে ঝুলে ঝুলে। ব্যাপারটা মন্দ নয়।
আমি কেন বলছি যে জীবন যন্ত্রণার? বলতে পারতাম ব্যাপারটা আপেক্ষিক। খুব একটা নিরপেক্ষ অবস্থানে আসতে পারতাম। কিন্তু জীবন তো আপেক্ষিকতার তত্ত্ব মেনে চলে না। স্থান-কাল আপেক্ষিক হলেও জীবনের ব্যাপারে সেরকমটা বলা যায় না। আজব, আগেই তো বলেছি, জীবন গণিতের নিয়ম মেনে চলে না। জীবন অতি জটিল। এবং অতি যন্ত্রণার।
যদি আপনার এর পর্যায়ে এসে লাগে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ কেউ তবে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত। গণমানুষের নিয়ম হেসেবে আমাকে মানসিকভাবে যথেষ্ট সুস্থই বলা চলে। আমাকে দেখলে বলবেন, আরে ছোকরাটা দেখি ভালোই হাসিখুসি! তাহলে বার বার, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কেন বলছি জীবন মানেই কষ্ট? জীবন মানেই যন্ত্রণা? অকারণে নয়। কারণ আছে।
১৯৯১ সালে মহান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের একটি ছবি মুক্তি পায়। ছবির নাম আগন্তুক, রায়বাবুর শেষ ছবি। সেই ছবির কিছু সংলাপ থাকে এমন। (নিশ্চয় আপানারা অনেকে তা শুনেছেন, না শুনে থাকলে আমার এই ছাইপাঁশ পড়া বাদ দিয়ে ছবিটি দেখে আসুন)
আপনি কি ধর্ম মানেন?
আমি মানুষটা জানেন মিস্টার সেনগুপ্ত, একটু আন-অর্থডক্স।
সে তো ভালো কথা।
যে জিনিস মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে, আমি তাকে মানি না। রিলিজিয়ন তো তা করেই। অর্গানাইজড রিলিজিয়ন তো বটেই। সেই একই কারণে, আমি জাতও মানি না।
ঈশ্বর?
অন্ধজনে দেহ আলো। মৃতজনে দেহ প্রাণ! কে দেবে আলো? কে দেবে প্রাণ? মুশকিলটা কি জানেন মিস্টার সেনগুল্প, আজকালকার দিনে এক মঙ্গলময় পরমেশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। দৈনিক পত্রিকা! দৈনিক! প্রতিদিন সেই বিশ্বাসে আঘাত হানে। কী করবো বলুন?
হুম, ট্রু এনাফ। এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত।
(আগন্তুক ছবির পোস্টার)
এতটুকুতেই শেষ করছি। মূল কথা এখানে উঠে এসেছে। কেউ আবার মনে করবেন না আমি ঈশ্বরে অবিশ্বাস প্রসঙ্গে কিছু বলবো। তা নয়। আমি মনোযোগ দিতে চাইছি এই কথায় যে, বস্তুত আমাদের সামগ্রিক পৃথিবীর কথা চিন্তা করলে আমরা কেউই সুখে নেই। আমাদের দৈনিক এর সব থেকে বড় প্রমাণ। যদি সুখ থেকে থাকে তা সাময়িক। সময় গেলেই কর্পূরের মতো সেটি উবে যায়। রয়ে যায় কষ্ট। যে জিনিস স্থায়ী নয়, সে জিনিস টেনে কোন যুক্তিতে বলতে যাবো জীবন সুখের?
বস্তুত, কাঁটাঘায়ে প্রতিনিয়ত ব্যান্ডেজ মেরে আমরা বসে আছি। ব্যান্ডেজের নিচেই কিন্তু দগদগে ঘা। এখন যদি জিজ্ঞেস করা হয়, শরীরে ঘা আছে কি নেই তবে উত্তর কী দিব? ঘা নেই? নাকি আছে? কোনো কিছু ঢেকে রাখলেই সেটির অস্তিত্ব লোপ পেয়ে যায়?
বলা যেতে পারে, ঘা তো শুকিয়ে যায় এক সময়। তখন বলবো, কয়টি ঘা শুকানোর জন্য বসে থাকবেন? ঘা তো একটি না। অসংখ্য। দেখবেন শেষ ঘাটুকু শুকিয়ে যেতেই ঘণ্টা বেজে গেছে, বিদায়ের ঘণ্টা।
মজার কথা হলো জন্মের সময়ে কোনো ঘা থাকে না। যতই সময় পার হতে থাকে ততই ঘায়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কোনো কোনো ঘা খুব গভীর। কোনো কোনো ঘা একদম হালকা। আর আমরা, সেই ঘাগুলোতে ব্যান্ডেজ মারতেই থাকি; ব্যাথাগুলো সহ্য করি এবং ঘা শুকানোর অপেক্ষা করি। এই আশায় বসে থাকি, একদিন সব ঘা শুকিয়ে যাবে। আর ব্যান্ডেজ মারতে হবে না।
যাইহোক, মনে হলো ব্যাপারটা ভালো রকমই পেচিয়ে ফেললাম। যারা প্যাঁচ ধরতে পেরেছেন তাদের অভিনন্দন; আমার মতো নিম্নমানের লেখকের লেখা পাঠোদ্ধার করতে পেরেছেন। সম্ভব হলে কেয়া কসমেটিক্স এর সৌজন্যে একটি গিফট হ্যাম্পার পাঠিয়ে দিতাম আপনাদের সকলের ঠিকানায়।
যাইহোক, লিখতে বসেছিলাম দিন কীভাবে আজকাল কাটছে সেটি নিয়ে। লেখা ফেললাম জীবন কেন কষ্টের, জীবন কেন যন্ত্রণার, এটি নিয়ে। আমি কি সূক্ষ্মভাবে এটি বুঝাতে চাচ্ছি যে আমার নিজের দিবস-রজনী প্রচুর যন্ত্রণায় কাটছে? কে জানে! কিছু রহস্য থাকুক।
একজনের কথা বলি। নাম মিলন হোসেন। থাকেন নারায়ণগঞ্জে। জীবনে উনার ঘায়ের সংখ্যা কম নয়। উনার ভাষায়, 'এমনিতে আমার জীবনে দুঃখ ছাড়া কিছু পাই নাই, ছোডোবেলা থেইকা কাম কইরাই জীবন শেষ। কোনো দিনও উচ্ছ্বাস করতে পারি নাই। একটা সুস্থ মানুষ ভুল চিকিৎসায় প্রতিবন্ধী হইয়া গেলাম।' কিন্তু মিলন যে কাজটি করতে পেরেছেন তা খুব কম মানুষই পারে। আর তা হলো, সেইসব ঘাগুলোকে পাত্তা না দেওয়া! মিলন বলেন, 'প্রথম প্রথম এইসব ভাইবা দেখলাম, জীবন আসলে এমনই, কোনো মানুষের জীবনই পরিপূর্ণ না। করো অর্থ-সম্পদ নাই, কারো মনের মানুষ নাই, কারো আবার চরিত্রই নাই। আমার মতো কারো কারো স্বাস্থ্য নাই। আবার দেখি সবই আছে, কিন্তু সুখ নাই। এইটাই দুনিয়ার নিয়ম। আমি এই নিয়ম মাইনা নিছি। এখন একটাই চাওয়া, জীবনে যেন সম্মান নিয়া বাঁচতে পারি। কারো কাছে যেন মাথা নত করতে না হয়।'
(নারায়ণগঞ্জের মিলন হোসেন)
শেষ করছি আমার খুব প্রিয় একটি ছবি, ড্রাইভ মাই কার এর শেষ মোনোলগ দিয়ে। ছবিটি জাপানিজ। আমার সব থেকে প্রিয় লেখকদের একজন, হারুকি মুরাকামির একটি ছোটগল্প অবলম্বনে এই অসাধারণ ছবিটি নির্মাণ করেছেন রাইইয়ুসুকে হামাগুচি। যদি না দেখে থাকেন, দৌড় দেন, দেখে আসেন।
"আমরা বেঁচে থাকবো, আঙ্কেল ভানিয়া। আমরা এই দীর্ঘ, দীর্ঘ দিবস এবং এই দীর্ঘ ক্লান্তিকর রজনী পার করবো একে একে। আমরা পরম ধৈর্যের সাথে ভাগ্যের ছুঁড়ে দেওয়া নির্মম আঘাতগুলো সহ্য করবো। বিশ্রাম নিতে না পারলেও আমরা অন্যের জন্য কাজ করে যাব, এখন এবং যখন আমরা বুড়ো হয়ে যাবো তখনো। এবং আমাদের শেষ সময় যখন চলে আসবে, আমরা চুপচাপ চলে যাব। এবং তখন সেই বিস্তৃত দিগন্তে দাড়িয়ে আমরা তাঁকে বলবো যে, আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। আমরা কেঁদেছি, অনেক কেঁদেছি। জীবন খুব কঠিন ছিল। তখন ঈশ্বর আমাদের কৃপা করবেন। তখন তুমি আর আমি, আমাদের চোখের সামনে সেই চমৎকার, উজ্জ্বল ও স্বপ্নের জীবনকে দেখতে পাবো। আমরা তখন আনন্দ করবো, এবং মুখে কোমল হাসি নিয়ে, আমরা আমাদের বর্তমান দুঃখের দিকে ফিরে তাকাবো। এবং তখন, শেষমেশ, আমরা বিশ্রাম নেব। আমি এটি বিশ্বাস করি। আমি খুব গভীরভাবে, বুকের ভেতর থেকে এটি বিশ্বাস করি। যখন সেই সময় আসবে আমরা পরম শান্তিতে বিশ্রাম নেব।"
(ড্রাইভ মাই কার ছবির পোস্টার)
আমরা বেঁচে থাকি আশা নামক লাঠির উপর ভর করে। যার লাঠি যত শক্ত, সে তত দৃঢ়ভাবে দাড়িয়ে থাকতে পারে। বেঁচে থাকতে পারে। সবার ভাগ্য এক হয় না। আমার যেমনটি নেই। কিন্তু আমার লাঠি দুর্বল হলেও অন্যেরা তাদের লাঠি আমার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। আমি পরম কৃতজ্ঞতায় তাদের লাঠিতে ভর দিয়ে আছি। ব্যাপারটা খুব যে সুখকর তা নয়। তবুও চলছে দিন। আসছে রাত। সময় কারো পরোয়া না করে আপন ছন্দে এগিয়ে চলছে, ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের। ভাসতে ভাসতে একসময়ে কূলে এসে থামবো। সেইসাথে থেমে যাবে সবকিছু, শুকিয়ে যাবে সকল ঘা। সেই সময়ের অপেক্ষা আছি।
~ নাজিব আহমেদ ভূঁইয়া
মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, ঢাকা।
২৮/০২/২০২৩ ইং।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন