দুটি র্যান্ডম কাহিনী
কাহিনী নম্বর ০১
মায়ের সাথে ধানমন্ডি হকার্সে শপিংয়ে গেছি।
সাত ঘণ্টা ধরে হাঁটছি তো হাঁটছি, কোনো শাড়িই মায়ের পছন্দ হচ্ছে না। থাক, সেটা বড় কথা না। বড়ো কথা, মায়ের অবশেষে একটা শাড়ি পছন্দ হলো।
দোকানদার দাম হাকালো এগারো হাজার টাকা। মা মুখ খোলার আগে আমি উট পাখির মতো গর্ত খোঁজ শুরু করলাম। কিন্তু গর্ত পেলাম না। মা হাকালো, "পাঁচ হাজারের বেশি দিতে পারবোই না।"
গর্ত না পেয়ে আমি মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলাম। ফলে দোকানদারের বাঁকা হাসি দেখতে পেলাম না। শুধু শুনতে পেলাম, "আপা কি যে বলেন, এইটা পাঁচ হাজারের শাড়ি? ওইসব পাঁচ সাত হাজারের জিনিস এইটা না।"
মা "না হইলে কি আর করার" বলে হাটা ধরলো।
পেছন থেকে দোকানদারের কণ্ঠ "এইসব দশের নিচে ছাড়ি না" ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে এলো।
আমরা পুরো মার্কেট এক রাউন্ড চক্কর কেটে আবারও দোকানের সামনে আসি। আমাদের দেখে দোকানদার বললো, "কী ম্যাডাম, নিলেন না। আরেকটু বাড়ালেই কিন্তু হইতো।"
মা বললো, "ওই পাঁচ এর বেশি পারবো না ভাই।"
"আচ্ছা, আরেকটু বাড়ান।"
"না পাঁচ।"
"আচ্ছা জান। আর ৫০০/- দিয়েন। নেন।"
"৫০০/- টাকা আমার কাছে নাই..."
"আরে কই যাচ্ছেন! এই যে নেন। ওই আক্কাস শাড়িটা ঢুকা।"
আমি বরাবরের মতো মায়ের এই অসাধারণ গুণে আপ্লুত হলাম।
মোরাল অব দ্যা স্টোরি - যে মেয়ে আমাকে বিয়ে করবে তার সাথে ৭+৩ = ১০ ঘণ্টা শপিং করবো। একটা "উফ্" পর্যন্ত করবো না। প্রমিস। পিংকি প্রমিস।
কাহিনী নম্বর ০২
এই লীলা খেলা বুঝলাম না।
ট্রেনের পাশের খালি সিটে এক সুন্দরী এসে বসে পড়লো। মায়া মায়া চোখ। কমলার কোয়ার মতো ঠোঁট। সে মিষ্টি করে তাকালো আমার দিকে। কী মনে করে একটু পর আরো মিষ্টি করে হাসলো।
ততক্ষণে আমিও মিষ্টি একটা স্বপ্নে অলমোস্ট হারায়ে গেছি।
হঠাৎ কই থেকে আল্লাহ্ মালুম এক ভাল্লুক প্রজাতির ব্যাটা এসে বললো, ব্রাদার একটু দেইখা রাইখেন। ফার্স্ট টাইম বউ একলা কোথাও যাইতেছে।
হ, আমার বউ লাগে তো?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন