শেখ মুজিবের দ্বিতীয় মৃত্যু


 

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ যেভাবে একা হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানকে খেয়ে দিয়েছে, সেভাবে আর কেউই পারেনি। 

লেবু কচলে কচলে তিতা বানিয়ে ছেড়েছে। 

যেকোনো ভাষণ শুরু হতো "স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি..." দিয়ে আর শেষ হতো "জয় বঙ্গবন্ধু" দিয়ে। রীতিমত বাধ্য করা হতো এইগুলো বলতে! এমন ভাব যেন এই দেশের মুক্তির পেছনে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত নেই, তাজউদ্দিন আহমেদের হাত নেই, জিয়াউর রহমানের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের হাত নেই, সর্বোপরি এই দেশের গণ মানুষের কোনো হাত নেই বা ভূমিকা নেই। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের মতো গণযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে ফেললো। আর সেই বাপকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না, কোনো কুকথা বলা যাবে না, আর কিছু বলে ফেললে উঠায় নিয়ে যাবে, মেরে ফেলবে, গুম করবে। এর উপর তো বিভাজনের রাজনীতি, ট্যাগ দেয়ার রাজনীতি আছেই; কথায় কথায় অন্যদের "রাজাকার" বলে টুটি চেপে ধরার কথা তো বাদই দিলাম। 

এখন হলো কী? সমালোচনা দূরের কথা, শুরু হয়ে গেছে অবমাননা। এখন ঠ্যাকা। পারবি? শুরু থেকেই যদি মুক্ত কথাবার্তার সুযোগ থাকতো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তবে আর যাই হোক, এই অবস্থা দেখা লাগতো না। যতটুকু সম্মান তাঁকে দেয়ার, মানুষ তাঁকে ঠিকই তা দিতো। বেশি বারাবারি করেছিল এই মহিলা, শেখ মুজিবকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফলাফল কী দাঁড়ালো? 

আজ ১৫ই আগস্ট, ২০২৪ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দ্বিতীয়বার হত্যা করা হলো। প্রথমবার নিহত হলেন উদাসীনতা আর ভুল মানুষদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার কারণে আর এই দ্বিতীয়বার হলো নিজের মেয়ের দোষে।

~
১৫-০৮-২০২৪
মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, ঢাকা।
 
Painting: By Md. Saidul Islam.

 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ